Advertisement

কিংস অ্যারেনায় মাঠের বেহাল দশায় অসন্তুষ্ট অংশগ্রহণকারী দলগুলো

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০২৫

24obnd

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুক্রবার শুরু হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী ম্যাচেই লাল-সবুজের মেয়েরা মাঠে ৯-১ গোলের বড় জয় পেলেও খেলার মান ছিল মাঠের কারণে তলানিতে। বল ঠিকঠাক পাস হচ্ছিল না, পা পিছলে পড়ে যাচ্ছিল খেলোয়াড়রা, বল নিয়ে এগোতে পারছিল না। সব মিলিয়ে খেলা যেন চলছিলই না। মাঝে মাঝে তো মনে হচ্ছিল খেলোয়াড়দের পা মাঠেই গেঁথে যাচ্ছে। পরে ম্যাচ শেষে লাল-সবুজের হয়ে হ্যাটট্রিক করা ফরোয়ার্ড সাগরিকাও অসন্তোস প্রকাশ করেন মাঠ নিয়ে। পরে দুই দলের কোচও অভিযোগ জানায় মাঠ নিয়ে। বয়সভিত্তিক সাফের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায়। উদ্বোধনী ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর আগেই আশঙ্কা ছিল মাঠটি খেলার উপযোগী কি না, তা নিয়ে। কারণ গত কয়েক দিনে বৃষ্টিতে কাদায় মাঠ একেবারেই খেলার অনুপযোগী ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আয়োজন করা হয় দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের সূচনালগ্নের ম্যাচটি। যেখানে জাতীয় স্টেডিয়াম অলস পড়ে রয়েছে। যেটি পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম।

উদ্বোধনী ম্যাচটি চলাকালীন মাঠের কর্দমাক্ত অবস্থা বারবার চোখে পড়েছে। খেলোয়াড়রা দৌড়াতে পারেননি, বল গড়ায়নি, প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিয়ে পাস দেয়া কিংবা গোল বরাবর শট নেয়া- সবকিছুতেই বাধা ছিল মাঠ। ফুটবলাররা বারবার স্লিপ খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। তাতে ফুটবলের সৌন্দর্য যেন কাদায় আটকে গিয়েছিল। তবুও খেলছিল মেয়েরা। মাঠে বসেই খেলার এমন চিত্র স্বচক্ষে দেখেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণরা। যদিও তারা এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এই খেলা শেষে বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক গোল করা সাগরিকা বলেন, 'আমরা প্রথম হাফে ভালোভাবে খেলতে পারিনি, কেননা মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, অনেক কাদা ছিল। কিন্তু আমাদের কোচ হাফ টাইমের বিরতির সময় বলেছিলেন আমরা এর থেকেও ভালো খেলতে পারি। তো সেটা মেনেই পরে মাঠে নেমেছিলাম, খেলেছিলও ভালো।'

এতে প্রশ্ন উঠেছে, আন্তর্জাতিক একটি টুর্নামেন্টের জন্য কেন বেছে নেয়া হলো এই মানহীন মাঠ? বৃষ্টির মৌসুম যে এটা নিয়ে কি আগে থেকে অবগত ছিল না ব্যবস্থাপকরা? কোন স্বার্থে তারা এই মাঠ বেছে নিয়েছেন-তা নিয়েও নানা সমালোচনা হচ্ছে। যেটা হওয়াও স্বাভাবিক কারণ আন্তর্জাতিক মানের ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম প্রস্তুত ছিল। তারা চাইলেই টুর্নামেন্টটি এখানে আয়োজন করতেই পারত। তবে কেন তারা অন্য পথে হাঁটল সেটা জানার জন্যই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে দেশের ফুটবল সমর্থকরা। এদিকে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার এবং শ্রীলঙ্কার কোচ শ্রীরাস্থা কুমারা দুই জনই মাঠ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। লঙ্কান কোচতো অকপটে বলেই দেন যে, তারা বাংলাদেশে এর থেকে ভালো মাঠে খেলবে বলেই প্রত্যাশা করেছিল। এমন মাঠে তাদের সাফ খেলতে হবে তারা কল্পনাও করেনি। এদিকে দল বড় জয় পেলেও এমন মাঠে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায় মোটেও খুশি নন বাটলার। তার মতে, এটি স্বাভাবিক একটি ফুটবল ম্যাচ খেলার জন্য যথার্থ মাঠ না। যদিও তারা এমন বেহাল মাঠ নিয়ে সাফ কিংবা বাফুফে কাউকেই দায় দিচ্ছে না। তবে পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ জানাবে কি না, সেটিও অবশ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন

Lading . . .