যে সূরা তেলাওয়াত করলে রোগ বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পাবেন

যে সূরা তেলাওয়াত করলে রোগ বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পাবেন

রোগ, বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি লাভের জন্য কিছু বিশেষ সূরা ও আয়াত তেলাওয়াত করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে সূরা আল-ফাতিহা, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আয়াতুল কুরসী), সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, এবং সুরা নাস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও, কোরআনের ৬টি আয়াত যা "আয়াতে শিফা" নামে পরিচিত, তা রোগ মুক্তির জন্য পাঠ করা হয়।

আরও কিছু আমল ও দোয়া রয়েছে যা রোগ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক হতে পারে:

সূরা আল-ফাতিহা:

আয়াতুল কুরসী (সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত):

সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস:

আয়াতে শিফা:

কোরআনের ৬টি আয়াতে শিফা রোগ মুক্তির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই আয়াতগুলো হলো:

সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত

সুরা ইউনুসের ৫৭ নং আয়াত

সুরা হিজরের ৮৭ নং আয়াত

সুরা বনী ইসরাঈলের ৮২ নং আয়াত

সুরা আশ-শে'আরার ৮০ নং আয়াত

সুরা যুমার এর ৪৩ নং আয়াত

এছাড়াও, রোগ মুক্তির জন্য বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা হয়, যেমন:

লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালেমিন (সূরা আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াত)।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন সাইয়্যেয়িল আসক্বাম। (অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কুষ্ঠরোগ, উম্মাদনা, ধবলরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্মক রোগ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)।

আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, মুযহিবাল বা'সি, ইশফি আনতাশ শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা, শিফায়ান লা ইউগাদিরু সুকমা। (অর্থ: হে আল্লাহ, মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী, আরোগ্য দানকারী, আপনি আরোগ্য দান করুন, আপনি ছাড়া আরোগ্য দানকারী কেউ নেই, এমন আরোগ্য যা রোগ।)।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া করা এবং তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা।