হাদিসে পূর্বাভাস: 'খুনাখুনির যুগ' শুরু হয়ে গেছে?
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে অহেতুক খুনাখুনির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ, গুজব, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এমনকি পারিবারিক কলহেও প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।
অনেকে মনে করছেন, বিশ্ব হয়তো প্রবেশ করে ফেলেছে সেই যুগে, যার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
হাদিসে এই সময়কে বলা হয়েছে—“যামানাতুল কাত্ল” বা ‘খুনাখুনির যুগ’।
হাদিসে কী বলা হয়েছে?
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কিয়ামত আসবে না, যতক্ষণ না 'হারজ' (হত্যা) ব্যাপক হবে।”
সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, 'হারজ' কী? তিনি বললেন, “হত্যা, হত্যা।” (সহীহ বুখারী: ৭০৬৮)
অন্য এক হাদিসে (সহীহ মুসলিম: ২৯০৮) বলা হয়, “হত্যাকারী জানবে না সে কেন হত্যা করছে, আর নিহত জানবে না সে কেন নিহত হলো।”
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হচ্ছে বিভিন্ন সংঘর্ষে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিরোধে ব্যাপক রক্তপাত ঘটেছে। অনেক সময় দেখা যায়, নিহতদের কোনো সংশ্লিষ্টতাও ছিল না—তারা শুধুই সহিংসতার শিকার।
ইসলামে অকারণে মানুষ হত্যা চরম গোনাহ। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করার সমান।” (সূরা মায়েদা: ৩২)
রাসূল (সা.) বলেছেন, ফিতনার সময় ঘরে অবস্থান করাই উত্তম। (তিরমিজি: ২১৯৪)