Advertisement

চোখ হারিয়েও দল ছাড়েননি রুবেল, দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মনজু

মানবজমিন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

বিএনপি’র বিগত দিনের আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছে যুবদল। যুবলীগের হামলায় চোখ হারিয়েও যুবদল ছাড়েননি আব্দুর রউফ রুবেল। এ ছাড়া দেড় ডজন গায়েবি মামলায় দফায় দফায় কারাবন্দি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে থাকতে হয়েছে ঘরছাড়া। রুবেল বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া দীর্ঘ বছর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জানা যায়, ফ্যাসিস্টের কাঁটায় পরিণত হওয়ায় মামলা, হামলা ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে অসংখ্য নেতাকর্মী ফেরারি জীবন কাটিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি’র বিগত দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে তৃণমূলে সরব নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদলের রুবেল। নন্দীগ্রাম উপজেলায় অবরোধ, বিক্ষোভসহ ফ্যাসিস্ট বিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎপর ছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়। ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর চারটি থেকে দায়মুক্ত হয়েছেন। রুবেল জানান, ঢাকায় বিএনপি’র একটি সমাবেশে পুলিশ ও যুবলীগ হামলা চালিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মৃত ভেবে তাকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে গেলে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঢাকা থেকে ফেরার পথে বাস কাউন্টার থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় যুবলীগ।

টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। নন্দীগ্রাম শহরে তার বাড়িতে দু’দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। বাসস্ট্যান্ডে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়। তাকে তুলে নিয়ে থানার মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশ। ফ্যাসিস্টের নির্যাতনের মুখে দেশ ছাড়েন আরেক যুবদল নেতা মনজুরুল ইসলাম মনজু। তিনি শাজাহানপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য ও খরনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে একযুগে ১৭টি গায়েবি মামলা দেয়া হয়। এমনকি তার জমির বেগুন গাছ কেটে চাষাবাদ নষ্ট করে দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন। একাধিকবার কারাবন্দি ও নির্যাতনের মুখে তিনি ২০২৪ সালে দেশ ছেড়ে সৌদিতে চলে যান। ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে ফেরেন। ইতিমধ্যে ১৪টি গায়েবি মামলা থেকে দায়মুক্ত হয়েছেন। এছাড়া পা ভাঙলেও দুই মামলা মাথায় নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আরএইচ নুরনবী। তিনি নন্দীগ্রাম পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি হন। ২০২৩ সালে তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুন

Lading . . .