সুরমা-কুশিয়ারার চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে
প্রকাশ: ২ জুন, ২০২৫
সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জেলার কয়েকটি নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল।
কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি ১৩ দশমিক ৫৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৯ মিটার ওপরে। কুশিয়ারার অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৭ দশমিক ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৬ মিটার ওপরে। শেওলা পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৫ মিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জে ৯ দশমিক ৬৮ মিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৩ মিটার ওপরে রয়েছে।
সুরমা ও কুশিয়ারা ছাড়াও জেলার ধলাই নদীর পানি বেড়েছে। তবে লোভা, সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এসব এলাকার পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া জৈন্তাপুর, ওসমানীনগর ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকেছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবার ভোরে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও আজ ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। অতিভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদ-নদীর পানির দিকে আমরা সর্বক্ষণ নজর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’