বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা মওদুদ আহমদ, সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, জেলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেনÑ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুল মতিন লিটন ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, সংগঠনের ভেতরে বিভ্রান্তি ও বিভাজন সৃষ্টির জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। তারা বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার কখনো সফল হবে না। বক্তারা বিএনপি’র ঐক্য সুদৃঢ় রেখে আগামীর আন্দোলনকে বেগবান করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নে যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বিকাল ৪টায় বসুরহাট হাসপাতাল গেট সংলগ্ন একটি দোকানে চা পানকালে তার ওপর হামলা চালানো হয়। জানা যায়, চর এলাহী ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা পেছন থেকে ধারালো খুর দিয়ে শাহাব উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তার কান, মুখ ও গলায় গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বসুরহাট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকাল ৫টায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও নোয়াখালী-৫ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ ফখরুল ইসলাম নিজ বাসভবনে সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় ফখরুল ইসলাম বলেন, চর এলাহী ইউনিয়নের তোতা চেয়ারম্যানের ছেলেরা সাবেক বিএনপি সভাপতি ও সম্পাদকের মদদে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আমলে তারা আওয়ামী লীগের ছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এখন বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তিনি হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। পরে বাদ মাগরিব হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সন্ত্রাসীদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন বজলুল রহমান চৌধুরী আবেদ। তার ছত্রছায়ায় থেকেই এরা এত সাহস পাচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটিতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের জায়গা দেয়া হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ফখরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গত তিন বছরে যারা স্থানীয় কমিটিতে থেকে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করেছে, তাদেরকে নতুন কমিটিতে না রাখার জন্য অনুরোধ জানাই।