প্রকাশ: ১০ জুন, ২০২৫

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি ও বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বুধবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে ঘোষিত আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে আগের আমলের বাজেটের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। যা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এবারের বাজেটেও বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়নি।
তিনি বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি ও বৈষম্যমূলক। এছাড়া এপার্টমেন্ট, ফ্লাট কেনাকাটায় ও ভবন নির্মাণে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার এমন নীতি বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
রাশেদ আরও জানান, বাজেটে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ইতিবাচক দিক। তবে ১০ মাসেও যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসন, ক্ষতিপূরণ না হওয়ায় সন্দেহ সংশয় থেকে যায় যে, এই বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হবে কি না!
তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অত্যন্ত ইতিহাস দিক।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলতি অর্থবছরে এনবিআর থেকে ৪ লাখ ৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থাকলেও তা পূরণ হয়নি। আসন্ন বাজেটেও সেই লক্ষ্য মাত্রা পূরণে নেই কোন নতুন প্রস্তাবনা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমূখ।
আরও পড়ুন