Advertisement

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাদক পাচারে অভিযুক্ত এসআই প্রত্যাহার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ‘শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী’ হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করছেন এসআই কামাল হোসেন। গত ২৪ এপ্রিল তোলাছবি: ‘লোহাগাড়া থানা সিটিজি’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে
জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ‘শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী’ হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করছেন এসআই কামাল হোসেন। গত ২৪ এপ্রিল তোলাছবি: ‘লোহাগাড়া থানা সিটিজি’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর কামাল হোসেন নামের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

প্রত্যাহার হওয়া ওই এসআই গত ২৪ এপ্রিল জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ‘শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী’ কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। জেলা পুলিশ লাইনসে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তাঁর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা-কর্মীরা। এ সময় ৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তিনজনকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন তাঁরা। পরে একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে রমিজ উদ্দিন নামের একজন লোহাগাড়া থানা-পুলিশের সোর্স। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাদের দাবি, এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানার এসআই কামাল হোসেন জড়িত।

তল্লাশির সময় ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাইভ’ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তল্লাশি চলাকালে ৩০ থেকে ৪০ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে রমিজ উদ্দিনকে জবানবন্দি দিতে দেখা যায়। এতে তিনি বলেন, এসআই কামাল হোসেন ফেনসিডিলের বোতলগুলো দিয়েছেন।

এসআই কামাল হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম খান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কামাল হোসেনের ব্যাপারে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে।

Lading . . .