Advertisement

হাতিয়ার রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে জবাই করে হত্যা, লাশ ফেলল পুকুরে

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ৩০ মে, ২০২৫

24obnd

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামে ঘরে ঢুকে সবকিছু লুট করে আমেনা বেগম নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিক হত্যকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা।

বুধবার রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন মো.এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে রাতেই নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আমেনা (৫০) বেগম একই গ্রামের মো.এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি ৪ মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক ছিলেন।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার ৪ মেয়ে-২ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী এশার নামাজ পড়ছেন। এরপর তিনি আবার বাজারে চলে যান। এরপর স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন।

বাবলু আরো জানান,রাত সাড়ে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা। তার স্ত্রী ঘরে নেই। ঘরের মধ্যে ও কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকে জানান। পরে আমি সহ স্থানীয় কয়েকজনকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানায়। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে,কে বা কাহারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসত ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।

নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন,গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নারীর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন,এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

Lading . . .