যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর তেঁতুলতলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন যুবলীগের এক কর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহম্মদ আলী (৪০)। তিনি সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদারের কর্মী ছিলেন মোহম্মদ আলী। তাঁর বিজয় উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে উপশহর ই-ব্লক এলাকায় প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজন শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মোহাম্মদ আলীর মাথা ও পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আলী হোসেন মাটির ব্যবসা করতেন। ব্যবসা নিয়ে আলীর সঙ্গে পাশের কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের মো. নবাবের বিরোধ ছিল। কয়েক দিন আগে উপশহর এলাকায় প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। সেই বিরোধের জেরে নবাব তাঁর লোকজন নিয়ে আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।

নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা মবজেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘নবাব আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন বলেন, আলী হোসেন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদারের পক্ষে কাজ করেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এখনো মামলা হয়নি। তবে নিহত আলী হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক, মারামারি ও দ্রুত বিচার আইনে চারটি মামলা রয়েছে।