Advertisement

২৪ ঘণ্টা পার হলেও টেকনাফে অপহরণের শিকার ৫ জনের সন্ধান মেলেনি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২৫

অপহরণপ্রতীকী ছবি
অপহরণপ্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর পাহাড়ি সংযোগ সড়কে ৪ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৫ জনকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তাঁদের সন্ধান মেলেনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের বহন করা অটোরিকশা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের শিকার ৪ জন অটোরিকশার যাত্রী। তাঁরা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা অটোরিকশাচালককেও অপহরণ করা হয়। ৪ রোহিঙ্গা নাগরিকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে স্থানীয় অটোরিকশাচালকের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ড দৈংগ্যাকাটার নুর আহমেদের ছেলে মো. শামসু আলম (৩৫)।

হোয়াইক্যং দৈংগ্যাকাটার গ্রামের বাসিন্দা আবু নোমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হোয়াইক্যং বাজার থেকে বাহারছড়া যাওয়ার পথে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের মাঝপথে একদল ডাকাত সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে আটকে গাড়িচালকসহ ৫ জনকে আটক করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে একজন ওই সিএনজির অটোরিকশাচালক মো. শামসু আলম। সেখানে থাকা বাকি চারজন রোহিঙ্গা হলেও তাঁদের নাম–ঠিকানা বা পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পর পুলিশ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করেছে। ডাকাতদলের হাতে একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক ও ৪ জন রোহিঙ্গা অপহরণ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রোহিঙ্গাদের পরিচয় জানা যায়নি। অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে গত ২২ মে একটি ডাম্প ট্রাকের চালক, একজন মোটরসাইকেল আরোহীসহ ৫ জন অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। পরে তাঁরা কৌশলে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছেন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

Lading . . .