গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে মামলা, আসামি দেড় হাজার
প্রকাশ: ১১ জুন, ২০২৫

গাজীপুরে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে।
বুধবার (৪ জুন) শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার জেলার শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে সময় শ্রমিকরা পুলিশের এপিসি গাড়ি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) ভাংচুর করে এবং পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার বাদি হয়ে এ মামলা করেন। আটক ২৩ শ্রমিককে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) ইন্সপেক্টর আবদুল লতিফ বলেন, ‘সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর (নতুন বাজার) এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক জাকির হোসেন (২৭)। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে। শ্রমিক নিহতের জেরে পরদিন মঙ্গলবার কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা কারখানা ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত থাকার জন্য বলে। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের এপিসি গাড়ী (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) ভাংচুর করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদেরকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়।
শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, জাকির হোসেন ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না দিয়ে এক কর্মকর্তা তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এতে সে অপমানীত হয়ে আটতলা ভবনের ওই কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।