হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পরদিন ওসিকে প্রত্যাহার
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পরদিন হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে রোববার বিকেলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ওসির নীরব ভূমিকার অভিযোগে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। একই দাবিতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাতে বিক্ষোভ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার জশনে জুলুসে যাওয়া গাড়িবহরের এক যুবক হাটহাজারী বড় মসজিদ লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন বিকেলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ঢিল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আহমেদ দিদার কাসেমী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে মাদ্রাসায় ঢুকে যেতে বলেন। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন। অন্যদিকে সুন্নি জনতা অবস্থান নেন হাটহাজারীর কাচারি সড়কে। উভয় পক্ষ টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ও ঢিল ছোড়াছুড়িতে দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১২৭ জনকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।