বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পঞ্চগড়ে এক শিক্ষার্থীসহ দুই ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ব্যাংহারি পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সপিজ উদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক রব্বানী (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহিন (৩৮) ও শফিজুল ইসলামের ছেলে জামিদুল ইসলাম (২১)। জামিদুল এবারে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। নিহতরা একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, আজ সকালে গ্রামের একটি এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানান। এরপর সেখান থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় স্থানীয় লোকজন মাঠে ভুট্টার ক্ষেতে কাজ করতে যান। কিন্তু হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। এ সময় মাঠে প্রায় ১৪ জন কাজ করছিলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী জামিদুল ইসলাম মারা যান। আহত হন আরো পাঁচজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানের চিকিৎসকরা আরো দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুরুতর আহত জয় ইসলামকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুলের কারণেই এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ বিচার দাবি করেছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড়ের ডিজিএম মোহাম্মদ মাজহারুল আলাম জানান, পল্লী বিদ্যুতের লাইনে কোনো সমস্যা হয়নি। লাইনটি ছিল নেসকোর।

এ বিষয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আবুল কাশেম জানান, বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দু’জন মৃত অবস্থায় আসেন এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।