বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন পাবিপ্রবি ভিসি
প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়ালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পাবিপ্রবি পা রাখছে তার ১৮তম বছরে। দীর্ঘ এই পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি যেমন তৈরি করেছে অসংখ্য মেধাবী গ্র্যাজুয়েট, তেমনি হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র।
২০০৮ সালের ৫ জুন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। পরের বছর ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয় চার বছর মেয়াদি স্নাতক কোর্স। দেশের ২৯তম পাবলিক এবং সপ্তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি দেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে যুক্ত হয়।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের রাজাপুরের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) ভবনকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ২০১৩ সালে টিটিসির বিপরীতে রাজাপুরে ৩০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
২০০৯ সালের ৫ জুন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, বীর উত্তম, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। পাঠদানে যুক্ত রয়েছেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক, যাদের গবেষণা ও জ্ঞানের সংমিশ্রণে সমৃদ্ধ হচ্ছে শিক্ষার পরিমণ্ডল।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: শামীম আহসান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ৫ জুন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই গৌরবময় দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। জ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি আধুনিক, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে।
আমরা গর্বিত যে, আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক , গবেষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য হলো এই বিশ্ববিদ্যালকে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা। যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্য বইয়ের জ্ঞানই নয় বরং নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতাও অর্জন করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দেবে। ১৭ বছরের পথ চলায় জ্ঞান ,গবেষণা ও মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি আলোকিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক, গবেষক, উদ্যোক্তা ও মানবতার কাণ্ডারি। তাদের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।
আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী হবে আলোকিত মানুষ, যিনি শুধু পেশাজীবী হবেন না বরং হবেন দায়িত্বশীল নাগরিকও।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আনন্দক্ষণে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারো অভিনন্দন। আসুন, সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের উন্নয়নের অবদান রাখি এবং একটি আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।