অবশেষে এনসিপি ও জাপার এজাহার মামলা হিসেবে রেকর্ড করল পুলিশ
প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৫

অবশেষে রংপুরে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সাথে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং জি এম কাদেরের বাসায় হামলার ঘটনায় দেয়া উভয়পক্ষের এজাহার মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৩০ মে) জাতীয় পার্টি ও শনিবার এনসিপি থানায় এজাহার করেছিল।
রোববার (১ জুন) রাত ৯টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় এ মামলা রেকর্ড হওয়ার কথা জানিয়েছেন ওসি আতাউর রহমান।
তিনি জানান, ১ জুন মামলা দু’টি রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মামলা নম্বর ১ এবং এনসিপির মামলা নম্বর ২।
ওসি আরো জানান, গত শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা, হত্যাচেষ্টা, মোটরসাইকেলে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন ও বিস্ফোরক আইনে একটি এজাহার করেছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, সাবেক মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারসহ সাত নেতাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে মিছিলে হামলা বোমা বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে একই আইনে গত শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমহসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০-৯০ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেন এনসিপি জেলা ও মহানগর সংগঠক আলমগীর নয়ন। দু’টি এজহারই প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তভার দেয়া হয়েছে ওসি তদন্ত শুকুর আলীকে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে জি এম কাদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও এনসিপি মিছিল বের করলে সেনপাড়া মোড়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।