Advertisement

ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনশনে শিক্ষার্থীরা

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশেছবি: প্রথম আলো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আবার অনশনে বসেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এর আগে গত ২২ মে বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

অনশনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগ সংস্কার’, ‘বিভাগ কারও বাপের না, কারও কথায় চলে না’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২২ মে আন্দোলনের মুখে বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কমিটি। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাম পরিবর্তন করে ‘ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এত দিন পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আজ ডিন কার্যালয়ে সভা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাঁদের প্রস্তাবিত নাম পাস না করে অন্য একটি নামের সুপারিশ করা হয়েছে। এ জন্য তাঁরা আবার অনশনে বসেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।

বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শুভ বলেন, ‘আমরা আগে ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের প্রস্তাবিত নাম এত দিনেও চূড়ান্ত হয়নি। আজ শুনেছি অন্য একটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।’

ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ ডিন অফিসে একটি সভা হয়েছে। সেখানে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি ৪ নম্বর এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হয়েছে। বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশে একটি কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

Lading . . .