নিঝুমদ্বীপে পুকুর থেকে নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার
প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২৫

হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে আমেনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। এর আগে, রাত ১০টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আমেনা বেগম একই গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকি ব্যবসায়ী। তার চার মেয়ে, দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দু’জন বসবাস করে আসছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছে। এরপর তিনি বাজারে চলে যান।
তিনি আরো জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। ঘরের মধ্যে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকে ও স্থানীয় কয়েকজনকে মোবাইল ফোনে জানান। ঘটনা শুনে বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখা গেছে আমেনার রক্তাক্ত লাশ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নারীর লাশ পুকুরে ফেলা হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে লাশ পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন