Advertisement

জামিনে বের হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকে কারাফটক থেকে আবার গ্রেপ্তার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল কবিরছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল কবিরছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল কবির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কারাগারের প্রধান ফটক থেকে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই আরেকটি মামলায় তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

খাইরুল কবিরের পরিবারের অভিযোগ, হয়রানি করতে তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় তিনি জামিন পেলেও পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করেছে।

থানা-পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বারহাট্টা থানায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। ওই চারটি মামলাতেই খাইরুল কবিরকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে র‍্যাব-১৪ খাইরুল কবিরকে আটক করে। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার আগে কারাগার থেকে বের হন। কিন্তু প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়াতেই নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ আবারও তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, খায়রুল কবিরকে কুড়পাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনায় ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৬ হাজারের বেশি আসামি আছেন। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

Lading . . .