Advertisement

সাতক্ষীরায় বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫

গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজছবি: প্রথম আলো
গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরার একটি বিদ্যালয়ে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানোর ঘটনায় পুলিশ ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ তাঁকে বল্লীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত রোববার রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তার ইসলাম কবিরাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও বল্লী গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণিসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের আট নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।

শিক্ষক শফিকুর রহমান জানান, গত শনিবার সকাল আটটার দিকে বিদ্যালয়ে এসে তিনি বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত ক্লাস নেন। পরদিন রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা শনিবার সকালে অতিরিক্ত ক্লাসে এক ছাত্রীকে কিছু সময় একা পড়ানোর নামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে তাঁকে মারধর করতে থাকেন। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে এসে মারধর করতে করতে পাশের বাজারে ঘোরানো হয়। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা পক্ষ এই বিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এই ষড়যন্ত্রের শিকার।’

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজ আজ মঙ্গলবার থানায় অবস্থানকালে বলেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। একটি পক্ষের যড়যন্ত্রের শিকার।

বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষক একজন নৈতিকতাহীন মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। একটি অভিযোগের তদন্তও চলছে। রোববারের জনরোষ তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

এ বিষয়ে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মুঠোফোনে বলেন, রোববার সকালের দিকে ওই বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে নিজে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেন।

শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানোর প্রতিবাদে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গতকাল বেলা একটার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান শিক্ষক এ কে এম আজারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে তাঁরা বাধ্য হবেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, ওই শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে মামলায় ইকবাল কবিরাজকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Lading . . .