চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শিবপুর-মর্তুজাপুর গ্রামের ফাঁকা মাঠে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ছেলে জিয়ারুলকে (২২) কুপিয়ে ও বাবা শফি উদ্দিনকে (৫৫) পিটিয়ে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শিবপুর ও মর্তুজাপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ফাঁকা মাঠে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে।

ভুক্তভোগী বাবা-ছেলে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা ভ্রাম্যমান পোশাক বিক্রেতা।

জানা গেছে, আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে দশমাইল বাজারে বেচাকেনা শেষে ভ্যান করে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। শিবপুর ও মর্তুজাপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানের ফাঁকা মাঠে পৌঁছালে রাস্তার উপর ডাকাতদলের দেয়া বাঁশ পার হতে গিতে ভ্যান উলটে যায়। এ সময় সাথে সাথে ছয় থেকে সাতজনের একটি দল তাদেরকে ঘিরে ধরে। পরে কিছু বোঝার আগেই তারা জিয়ারুলকে কুপিয়ে জখম করে এবং বৃদ্ধ বাবাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

আহত শফি উদ্দিন বলেন, ’আমি ও আমার ছেলে দশমাইল বাজারে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় ডাকাতদল আমাকে পিটিয়ে ও আমার ছেলের বাম হাতে কুপিয়ে সারাদিনে কাপড় বিক্রির সব টাকা নিয়ে গেছে।’

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জিয়ারুলের বাম হাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে বৃদ্ধ শফি উদ্দিনকে মারধর হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলের, ‘আমরা জেনেছি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা। ভ্যান উলটে মালামাল রাস্তায় পাশে পড়েছিল। ভ্যান ও মালামাল পুলিশ হেফাজতে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’