‘শিক্ষার্থীরা এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে, চা খাচ্ছেন প্রিন্সিপাল’
প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম আমানুল্লাহ সম্প্রতি ঢাকার একটি কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, শিক্ষার্থীরা মোবাইলে এআই ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে। আর প্রিন্সিপাল চুপচাপ বসে চা খাচ্ছেন। এমন ভয়াবহ অবস্থা চলছে, দায়িত্বশীল শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
১০ আগস্ট রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’শীর্ষক সংলাপে উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ এ কথা বলেন। সংলাপ আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংলাপে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমে শিক্ষা ও শিল্পের সংযোগ প্রায় শূন্য। তারপরও এটা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। কারণ, দেশে বড় বড় কোম্পানিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর প্রয়োজন আছে। এসব শিক্ষার্থী দক্ষ নন, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও কম। এ জন্য তাদের সহজে ম্যানিপুলেট করা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের ব্যবহার করা যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাপদ্ধতির দুর্বলতা প্রসঙ্গে এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, এখানে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক দর্শনের কোর্সের নম্বর ইনপুট করেন। ল্যাব নেই এমন অনার্স-মাস্টার্সের কলেজেও রসায়ন, পদার্থ আর জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় ১০০ নম্বর দেওয়া হয়। অনেক কলেজে ল্যাব থাকলেও সেখানে কোনো কাজ হয় না।
সিপিডির সংলাপে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
আরও পড়ুন