Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • জাকসু নির্বাচনে যে আচরণবিধি লঙ্ঘনে বাতিল হতে পারে ...

জাকসু নির্বাচনে যে আচরণবিধি লঙ্ঘনে বাতিল হতে পারে প্রার্থিতা

যুগান্তর

প্রকাশ: ২২ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে জাকসুর আমেজ। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসুর এই নির্বাচনি আমেজে গা ভাসিয়ে অনেকেই করছেন আচরণবিধি লঙ্ঘন। কিন্তু জাকসু নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল সংসদ উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত আচরণ বিধিমালার ৪ ও ৫নং বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তির অভিযোগ/তথ্য পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশন উক্ত অভিযোগ/তথ্যের সত্যতা যাচাইপূর্বক ডোপ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

কোনো প্রার্থী কর্তৃক ফৌজদারি, আর্থিক, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ এবং যৌন অপরাধ সংঘটিত অথবা এ জাতীয় অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তিনি ভোটাধিকার হারাবেন এবং তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

নির্বাচনি আচরণবিধির ৭নং বিধিতে প্রচারণা সংক্রান্ত আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত ২৫ জনের অধিক শিক্ষার্থী একসঙ্গে জমায়েত হতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি থাকতে পারবে না। বৈধ ভোটার ও প্রার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতীত অন্য যে কেও বহিরাগত বলে বিবেচিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোনোরূপ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত উইকেন্ড/ইভিনিং/রিমোট সেন্সিংসহ পিএইচডি/এমফিল শিক্ষার্থীরা কোনোরূপ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে ও প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। উক্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা হারাতে পারেন যেকোনো প্রার্থী।

নির্বাচনি আচরণবিধির ৮ থেকে ১২নং বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারণা উপলক্ষে কোনো প্রার্থী কোনো আবাসিক হলের ভেতরে, দেওয়ালে, গেটে অফিসে, অনুষদে, কোনো যানবাহনে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বা অন্য যেকোনো জায়গাতে কোনোরূপ পোস্টার, ফেস্টুন লাগতে পারবেন না বা লিফলেট বিতরণ করতে পারবেন না। প্রচারণার জন্য কোনোরূপ এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও বলা হয়েছে প্রচারণার জন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ের ব্যবহার করা যাবে না। দেওয়াল লিখন করা যাবে না এবং প্রচারণা উপলক্ষে কোনোরূপ প্যান্ডেল, তোরণ বা ক্যাম্প নির্মাণ করা যাবে না। উক্ত বিধিনিষেধ অমান্য করলে যে কেউ হারাতে পারেন প্রার্থিতা।

আচরণবিধির ১৩নং বিধিতে বলা হয়েছে- কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর ব্যাপারে প্রকাশ্যে বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোনোরূপ মানহানিকর/অপপ্রচার/ বিদ্বেষমূলক বা উসকানিমূলক কথা বলতে পারবেননা। ১৪নং বিধিতে বলা হয়েছে- কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কোন ব্যক্তি ভোটগ্রহণের নির্ধারিত দিন হতে দুইসপ্তাহ সময়ের পূর্বে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্বাচনি প্রচারণায় কোনোরূপ মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচনি খরচ সংক্রান্ত ১৭নং বিধিতে বলা হয়েছে- হল সংসদের কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০০০ এবং কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ ৭০০০ টাকা খরচ করতে পারবেন।

আচরণবিধির ২০নং বিধিতে বলা হয়েছে উল্লিখিত আচরণবিধি ভঙ্গ করলে এতে সংক্ষুব্ধ যে কেও অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিলসহ ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ-২০১৮’ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Lading . . .