২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়।
তবে যারা আগের বছর এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে অথবা ফল খারাপ হওয়ায় পুনরায় পরীক্ষা দিতে চায়, তাদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও প্রকাশিত পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অনিয়মিত/মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেবে তারা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পাঠ্যসূচি (পুর্ণাঙ্গ সিলেবাস) অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২৫ সালে পূর্ণাঙ্গ সিলবাস ও পূর্ণাঙ্গ সময়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
তবে কারিকুলাম বাতিলের কারণে আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা আবারও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি।
এনসিটিবির মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম বিভাগের সদস্য ও সংস্থাটির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. রবিউল কবির চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ২০২৪ সালে যারা নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম পড়েছিল, তারাই ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গণঅভ্যুত্থানের পর সরকার ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রণীত কারিকুলাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে ২০১২ সালে প্রণীত কারিকুলাম যা সৃজনশীল নামে পরিচিত, সেই শিক্ষাক্রমে ফিরে যায়। ফলে শুধু দশম শ্রেণিতে এক বছর পড়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাদের। এজন্যই আমরা এক বছরের উপযোগী একটি সিলেবাস করে দিয়েছি। এটার ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে।