জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর, ফরম পূরণ অক্টোবরে
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আগামী ২১ ডিসেম্বর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে। আর অক্টোবরে শুরু হবে ফরম পূরণ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ ডিসেম্বর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে। ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষা উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বোর্ড।
ঢাকা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের জনিয়র বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি। পরীক্ষা হবে চারটি বিষয়ে। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ৩০০ এবং দুটি বিষয় একসঙ্গে করে ৫০ নম্বরে করে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সর্বমোট নম্বর থাকবে ৪০০।
বাংলা ১০০, ইংরেজি ১০০, গণিত ১০০, বিজ্ঞান ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন চলবে ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৯ অক্টোবর বিজি প্রেসে পাণ্ডুলিপি জমা দিতে হবে। এরপর নিজ নিজ বোর্ডের আওতাধীন জেলাগুলোতে কেন্দ্রভিত্তিক প্রশ্নপত্রের প্যাকিং তালিকা বোর্ডে পাঠানোর শেষ সময় ১৫ অক্টোবর।
একই দিনে ঢাকা বোর্ড সমন্বিত কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করবে। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রশ্নপত্র প্যাকিং তালিকা বিজি প্রেসে পাঠানো হবে। উপজেলা ভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের তালিকা ও কেন্দ্র তালিকা জেলা কমিটিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন
বৃত্তিতে অংশ নিতে অনলাইনে ফরম পূরণ চলবে ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর। প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইকরণের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
১৬ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর।
নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে।
এএএইচ/ইএ/এমএস