Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকায় ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক শি...

রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকায় ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা

যুগান্তর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটার তালিকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা, সাবেক শিক্ষার্থী ও বিতর্কিত শিক্ষার্থীদের যুক্ত থাকাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে এ তথ্যগুলো উঠে আসে।

রাকসুর গঠনতন্ত্রের ৩ এর ‘গ’ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বেআইনি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে একাডেমিক প্রোগ্রাম থেকে স্থগিত করা হয়েছে এমন শিক্ষার্থীরা সদস্যপদ লাভের যোগ্য হবেন না।

গত ১২ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সময়ে র‌্যাগিং, ছাত্র আন্দোলনে হামলা, সিট বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন স্থায়ী ও নানা মেয়াদে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসন। তবে ভোটার তালিকায় স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ শাস্তি প্রাপ্তদেরকে রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকায় দেখা গেছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রায়কে ওই হলের খসড়া ভোটার তালিকার ১৪৬ নাম্বারে দেখা যায় ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিবের অনুসারী মিশকাত হাসানের নাম একই হলের ৪৪৭ নাম্বারে দেখা যায়। তবে তাদের দুইজনকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া ওই সময় ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে। তারা বিজয়-২৪ (পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, নবাব আব্দুল লতিফ হলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা, ছাত্রলীগের কর্মী আব্দুল্লাহ আত তাসরিফ ও মুজাহিদ আল হাসান। খসড়া তালিকায় শাস্তিপ্রাপ্ত মিনহাজকে বিজয় ২৪ হলের ৩৮১ নাম্বার সিরিয়ালে, শামিমকে নবাব আব্দুল লতিফ হলের ১৮৫ নাম্বার, তাশরিফকে শাহ মখদুম হলের ৩৫৩ নাম্বার তালিকায় দেখা যায়। খসড়া তালিকায় দেখা যায় এক বছরের শাস্তিপ্রাপ্ত আলফি শারিন আরিয়ানা রোকেয়া হলের ৫৭৯ নাম্বার সিরিয়ালে রয়েছেন। এছাড়াও খসড়া ভোটার তালিকায় বিভিন্ন হলের তালিকায় ক্যাম্পাস ছেড়ে দেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা রয়েছেন।

এছাড়া স্নাতকোত্তর শেষ করা এক সাবেক সমন্বয়ককেও ভোটার করা হয়েছে। গত বছরের ১২ নভেম্বরে মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশিত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী জি কে এম মেশকাত চৌধুরীর (মিশু)। প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২২৪ নাম্বার ভোটার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক আগেই আমার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। ভোটার তালিকায় থাকার কথা না। যেহেতু অভিযোগ করার সময় আছে, তাই সমাধান করা হবে আশা করছি।

এছাড়াও খসড়া ভোটার তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ সাবেক শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

এদিকে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইন্সটিটিউটের (আইবিএ) অনেক শিক্ষার্থীর বাদ পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইন্সটিটিউটের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আছেন। তবে ৫ম থেকে ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের যারা হলে আবাসিকতা রয়েছে তারা ব্যতীত অন্যদের নাম আসেনি।

এ বিষয়ে ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর নির্বাচন কমিশন আমাকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার্থী তালিকা পাঠাতে বলে। আমি তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত খসড়া ভোটার তালিকার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তা নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিষ্পত্তি করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের এ তালিকাগুলো আমাদের কাছে থাকে না। আমরা হল প্রশাসন, রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং আইসিটি সেন্টারে চিঠি পাঠিয়েছি তারা তালিকা দিয়েছে। এখন ভোটার তালিকায় রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার হতে পারবে না তাদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দিব। কোনো অছাত্র বা বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই আমরা এটি সংস্কার করব।

Lading . . .