Advertisement

‘ভিনিসিয়ুসের বড় মানসিক সমস্যা আছে’

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

রোববার দিবাগত রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে রিয়াল ওভিয়েদোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ওভিয়েদোর ঘরের মাঠ কার্লোস টার্তিয়ে স্টেডিয়ামে বেশ সহজেই জয় পায় রিয়াল। তবে এ ম্যাচেও বিতর্কে জড়িয়েছেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যার মানসিক সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেছেন ওভিয়েদোর সাবেক গোলরক্ষক এস্তেবান সুয়ারেজ।

এদিন ভিনিসিয়ুসকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে যখন ব্রাজিলিয়ান তারকাকে মাঠে নামান তিনি। সে সময় রিয়াল মাত্র ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তবে ভিনি নামার পর বদলে যায় খেলার গতি। মাত্র আধা ঘণ্টার কম সময় খেলেও পুরো ম্যাচের আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন তিনি।

এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে অসাধারণ অ্যাসিস্ট করার পর নিজে করেন দলের পক্ষে তৃতীয় গোল। ম্যাচটা তার ফুটবল নৈপুণ্যের জন্য স্মরণ হতে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অল্প সময়ের মাঝেও ভিনিসিয়ুস এমন কিছু কাণ্ড করেছেন, যা আবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যার শুরুটা ছিল পেনাল্টি পেতে ডাইভ দেওয়ার অভিনয় করে।

ভুয়া পেনাল্টির জন্য অভিনয় করে হলুদ কার্ড দেখেও শান্ত হননি ভিনিসিয়ুস। এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে অ্যাসিস্ট করে উদযাপনের সময় দর্শকদের কিছু বলতে যাচ্ছিলেন তিনি। যদিও এ সময় তার মুখ চেপে ধরে থাকেন এমবাপ্পে। এ সময় ভিনি গ্যালারির দিকে তাকিয়ে রাগ দেখিয়েছেন। এমবাপ্পের চেপে ধরাটাও সহজভাবে নেননি তিনি।

ওভিয়েদোর সমর্থকরা এসব সহজভাবে নেননি। তারা ভিনিসিয়ুসের উদ্দেশে 'ইডিয়ট! ইডিয়ট!' বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপর ভিনিসিয়ুস তাদেরকে পাল্টা দ্বিতীয় বিভাগে যাওয়ার ইঙ্গিত দেখান। উল্লেখ্য, ২৪ বছর পর এবারই লা লিগায় প্রমোশন পেয়েছে ওভিয়েদো। ফলে ভিনি প্রকারান্তরে ক্লাবটিকেই অপমান করেছেন।

ম্যাচ শেষে এসব নিয়ে ভিনির অভিব্যক্তি ছিল শান্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংক্ষেপে তিনি বলেন, ‘আমি যেমন, তেমনই আছি।’ তবে ওন্ডা সেরোর রাদিও এস্তাদিও নোচে প্রোগ্রামে সাবেক ওভিয়েদো গোলরক্ষক এস্তেবান সুয়ারেজ ভিনিসিয়ুসের এসব আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সুয়ারেজ বলেন, ‘ভিনিসিয়ুসের বড় মানসিক সমস্যা আছে। সে এই মাঠে প্রথমবার খেলতে এসেছে, কিন্তু ৩০ হাজার দর্শক তাকে দুয়ো দিচ্ছে। এখানে তার কোনো পুরনো শত্রুতা নেই। তবুও সে দর্শকদের বলে 'তোমরা সেগুন্দায় যাও'। এটা তো আসলে একটা মানসিক বা সামাজিক সমস্যা।’

এএল

Lading . . .