Advertisement

‘খুব তাড়াতাড়ি ISL খেলবে’, ডুরান্ড জিতে ডায়মন্ড হারবারকে নিয়ে বড় দাবি নর্থইস্ট কোচের

এই সময়

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

পরপর দু’বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হলো নর্থইস্ট ইউনাইটেড।,ছবি: এক্স, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি
পরপর দু’বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হলো নর্থইস্ট ইউনাইটেড।,ছবি: এক্স, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি

সল্টলেকের যুবভারতী কাঁপিয়ে ইতিহাসের পাতায় আরও একবার নাম লেখাল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। ডায়মন্ড হারবারের স্বপ্নভঙ্গের রাতে, জন আব্রাহামের দল ছড়িয়ে দিল ফুটবলের জাদু। ৬-১ গোলে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে উচ্ছ্বাসে ভাসল নর্থইস্ট। ম্যাচ শেষে কোচ খুয়ান পেদ্রো বেনলির এবং দলের কর্ণধার জন আব্রাহামকে নিয়ে উৎসবে মাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের দলটি।

প্রথম মিনিট থেকেই আগ্রাসী, সংগঠিত, আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলেছেন আলাদিন আজ়ারিরা। কোচের কৌশল, দলের গতি, নর্থইস্টের লড়াকু মানসিকতা— সব মিলিয়ে জনের দল শনিবার উঠে এল ইতিহাসের পাতায়। ২০২৪ সালে মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ২০২৫-এ ফের বাংলার আর এক দল ডায়মন্ড হারবারকে হারিয়ে ট্রফি ধরে রাখল নর্থইস্ট। দুই বছর, বাংলার দুই জায়ান্টকে হারিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের টিম দেখিয়ে দিল, তারা শুধু প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসেনি, তারা এসেছে ইতিহাস লিখতে। যেখানে একটা সময় কলকাতার তিন প্রধানের আধিপত্য ছিল, সেখানে আজ উত্তর-পূর্বের ছেলেরা নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন। এই জয় শুধু একটি দলের নয়, এই জয় একটি অঞ্চলের, একটি সংস্কৃতির, একটি স্বপ্নের।

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পর নর্থইস্ট-ই সেই দল, যারা পরপর দু’বার ডুরান্ড কাপ জিতল। এই কৃতিত্ব আশির আখতার, পার্থিব গগৈ, থই সিং, জাইরো বুস্তারা, আন্দ্রে রদ্রিগেজ, আলাদিন আজ়ারিদের। ম্যাচ শেষে নর্থইস্টের কোচ বেনলি বলেন, ‘জিতে ভালো লাগছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া বড় সম্মানের। তবে ওদের দলের মান অনুযায়ী, রেজাল্ট ৬-১ হওয়া উচিত হয়নি, ৩-১ হতে পারত। তবে এটাই ফুটবল। একটা দলকে জিততেই হবে। এই সাফল্যে আমাদের টিমের কোনও একজন প্লেয়ারের কৃতিত্বে নেই, টিম গেম খেলেছে, তার সুফল পেয়েছে দল।’

ডায়মন্ড হারবার ১-৬ হারলেও, বেনলি এই দলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। দাবি করেছেন, ‘ডায়মন্ড হারবার কিন্তু খুব ভালো দল। তবে দিনটা ওদের ছিল না। ওদের কোচ খুবই ভালো। প্লেয়ায়রাও ভালো। এই কয়েক বছরের মধ্যে ওদের উত্থান অসাধারণ। খুব তাড়াতাড়িই ওরা আইএসএল খেলবে। এই বিষয়ে আমার কোনও সংশয় নেই।’

এদিকে দলকে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন করে আবেগে ভাসলেন আলাদিন আজ়ারি। এই নিয়ে কলকাতায় পরপর দু’বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। ব্যাক টু ব্যাক সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এবার জোড়া পুরস্কার— সোনার বল এবং সোনার বুটের মালিক তিনি। কলকাতায় এত সাফল্যের রহস্য কী? আজ়ারি বলে দেন, ‘এই স্টেডিয়াম আমাদের জন্য খুবই পয়া। পরপর দু’বার এখানে চ্যাম্পিয়ন হলাম। এই জয় আমাদের দলের মিলিত প্রচেষ্টা। আর আমি এই সাফল্য, এই পুরস্কার মেয়ে সোফিয়াকে উৎসর্গ করতে চাই।’

Lading . . .