তারুণ্যের জয়গান গেয়ে ওয়েস্ট হ্যামকে উড়িয়ে দিলো চেলসি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই ওয়ার্ম-আপে চোটে পড়ায় কোল পালমারকে হারায় চেলসি। তার পরিবর্তে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে যান তরুণ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এস্তেভাও উইলিয়ান। কেন তার জন্য চেলসি সমর্থকদের এত উদ্দীপনা সেটাই দেখালেন মাঠে নেমে। এ ছাড়া এনজো ফার্নান্দেজ, জোয়াও পেদ্রো, ময়েসেস কায়কেদোর মতো তরুণদের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট হ্যাম। উড়ে গেছে ৫-১ গোলের ব্যবধানে।
গতকাল (শুক্রবার) রাতে লন্ডন স্টেডিয়ামে এনজো মারেস্কার চেলসি রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের একের পর এক আক্রমণের কবলে পড়ে ওয়েস্ট হ্যাম। পুরো ম্যাচজুড়ে বলের পজেশনেও আধিপত্য (৬০ শতাংশ) ছিল মেন ইন ব্লুদের। চেলসির পক্ষে একটি করে গোল করেছেন জোয়াও পেদ্রো, পেদ্রো নেতো, এনজো ফার্নান্দেজ, ময়েসেস কায়কেদো ও ট্রেভো চলোবাহ। ওয়েস্ট হ্যামের পক্ষে এক গোল করেন লুকাস পাকেতা।
অবশ্য ম্যাচে গোলের শুরুটাই করেছিলেন পাকেতা। মাত্র ৬ মিনিটে তার গোলে লিড নেয় ওয়েস্ট হ্যাম। মাঝমাঠ থেকে কিছুটা এগিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে চোখে লেগে থাকার মতো এক গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। সমতায় ফিরতে ৯ মিনিট লেগেছে চেলসির। গল্পের বাকিটা জুড়ে তাদেরই একচ্ছত্র আধিপত্য। ক্লাব বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েই চমক দেখানো জোয়াও পেদ্রো ১৫ মিনিটে গোল করেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মার্ক কুকুরেয়ার মাথা ছুঁয়ে দ্বিতীয় হেডে জালে জড়ান এই সেলেসাও ফরোয়ার্ড।
২৩ মিনিটেই চেলসির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো নেতো। হ্যামারদের বক্সে জোয়াও পেদ্রোর হালকা উঁচু করে বাড়ানো বল এক স্পর্শে তিনি গোলে পরিণত করেন। বিরতির আগে আরও একদফা তাদের এগিয়ে দেন এনজো। কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সে পাস বাড়ান এস্তেভাও, এক স্পর্শে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং দেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগের সর্বকনিষ্ঠ (১৮ বছর ১২০ দিন) ফুটবলার হিসেবে অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এস্তেভাও। পরে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
মিডফিল্ডে এনজোর সঙ্গে ময়েসেস কায়কেদোর সক্ষমতা চেলসির ভিত কতটা শক্ত করেছে তা ক্লাবভক্তদের অজানা নয়। এদিনও তেমন কিছুর পর স্কোরশিটেও নাম তোলেন এই ইকুয়েডর তারকা। ৫৪ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল হ্যামার গোলরক্ষক ম্যাডস হারমানসেন ক্লিয়ার করতে গিয়েও পারেননি। বল গিয়ে পড়ে কায়কোদোর সামনে। ভিড়ের মধ্যে জোরে শট নিয়ে সফল হয়েছেন কায়কেদো। মিনিট চারেক বাদে চেলসির স্কোরলাইন ৫-১ করেন চলোবাহ। তিনিও গোল করেছেন কর্নার থেকে আসা বল কয়েকজনের পা ঘুরে আসার পর।
এএইচএস