কেমন ছিল নেপালে জামালদের মঙ্গলবারের পরিস্থিতি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। চলমান আন্দোলনে বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ। মঙ্গলবার নেপাল থেকে দেশে ফিরে আসার কথা থাকলেও খারাপ পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়েন জামালরা। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মঙ্গলবার সারাদিনের পরিস্থিতি জানিয়েছেন টিম ম্যানেজার আমের খান।
বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় আমের খান বলেছেন, ‘নেপালে একটা আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। যা হয়েছে সেটার প্রভাব কোথাও না কোথাও পড়বে। আমরা যে হোটেলে রয়েছি তার পাশে একজন সংসদ সদস্যের বাসা রয়েছে। বাসায় কিছু আন্দোলনকারীরা হামলা করেছিল। যেহেতু আমাদের হোটেলের কাছাকাছি সেকারণে আমাদের হোটেল থেকে আওয়াজ শোনা গেছে। হয়ত সেটারই কোন সংবাদ অন্যভাবে প্রচার হয়েছে। আসলে নেপালের সব জায়গায় কোন না কোন ঝামেলা হচ্ছে। এরকম না হলে তো আর দেশ থেকে তাদের প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান ছাড়ত না।’
বিমান বন্দরে যাওয়ার জন্য হোটেলও ছেড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। পরে ফেরত আসায় রুম নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। আমের খান বলেন, ‘আমরা আগে ভাগে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজকে যেতে পারিনি। কারণ কারফিউ ছিল, বিমানবন্ধর বন্ধ ছিল। যেহেতু আমরা হোটেল ছেড়ে দিয়েছিলাম, তাই অপেক্ষা করছিলাম আমাদের নিরাপত্তার জন্য কারা আসবে। শেষ পর্যন্ত কেউ আসতে পারেনি। না পেরেছে পুলিশ, না পেরেছে আর্মি। এমনকি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে যারা এসেছিলেন, তাদের গাড়িও ভাংচুরের মধ্যে পড়েছিল। অনেকভাবে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, যেহেতু ফ্লাইট শাটডাউন হয়ে গেছে তাই আমাদেরও কিছু করার ছিল না।’
‘আমরা এখনও হোটেলেই অবস্থান করেছি। যেহেতু হোটেল ছেড়ে দিয়েছিলাম, সেখানে আমাদের একটা সমস্যা হয়েছিল। আমরা যেতে পারবো না, তাই আবার হোটেলে চেক ইন দিতে গিয়েছিলাম তখন দেখা গেছে, রুমগুলো বুক হয়ে গেছে। যার প্রেক্ষিতে আমাদের একটু দেরি হয়েছে রুম পেতে।’
‘এমন অবস্থা আমরা আমাদের দেশেও দেখে এসেছি, সেদিক থেকে এখন আসলে অপেক্ষা করছি যে কবে নাগাদ আমরা আমাদের এই বিমানটা পাবো, সেটার অপেক্ষায় আছি।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নেপাল থেকে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে আজ বেলা ৩:০০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের BG0372 ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নেপালের বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রা স্থগিত করা হয়। কীভাবে স্পেশাল ফ্লাইট ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা। সেটা নিয়ে কিন্তু এখনও চেস্টা চলছে। সবকিছু মিলিয়ে দেখি, দেখা যাক কি হয়।’
গত শুক্রবার দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেয়। এর সাথে যোগ হয় সরকারের দুর্নীতির বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ। সোমবার দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভে নামে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা।