বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সাফল্যে মুগ্ধ ফিফা
প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

নারী ফুটবলে চলছে স্বর্ণযুগ। আফিদা-ঋতুপর্নাদের সাফল্যে ভাসছে বাংলাদেশ। অর্জনের পাল্লা ভারী হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা অন্য সবার মতো মুগ্ধ করেছে ফিফাকেও, টাইগ্রেসদের এই সাফল্যে স্বাগত জানিয়েছে ফিফা।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বয়সভিত্তিক পর্যায় দিয়ে শুরু, তবে জাতীয় দলও এখন এনে দিচ্ছে সাফল্য। ভয় করছে না বড় রাঘববোয়ালদেরও।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান কাপে, যেখানে ভালো করলে মিলবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিটও। ইতোমধ্যে বড় লাফ দিয়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। যা নজর কেড়েছে ফিফার।
তাই ‘মুগ্ধ’ ফিফা পোস্ট করে বসল আফিফাদের নিয়ে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বাংলার মেয়েদের নিয়ে কয়েকটি ফটোকার্ড শেয়ার করে ফিফা।
যার ক্যাপশনে লেখা, ‘১০০-এর কাছাকাছি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করার পর র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে উঠেছে। সামনে রয়েছে নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা।’
এরপর ছয়টি ফটোকার্ড শেয়ার করেছে ফিফা। যার প্রথমটিতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ের গ্রাফ দেখিয়েছে সংস্থাটি। সেই সাথে লিখেছে, ‘বাংলাদেশ ফিফা নারী র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী দল।’
দ্বিতীয় ফটোকার্ডে ফিফা লিখেছে, ‘২০২৩ সালের আগস্টে নারী বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম। কিন্তু ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর তারা উঠে এসেছে বিশ্বের ১০৪ নম্বরে।’
তৃতীয় ফটোকার্ডে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার উদাহরণ দিয়ে ফিফা লিখেছে, ‘এতদিন এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ কখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। কিন্তু ২০২৫ সালের বাছাইপর্বে তারা একটিও ম্যাচ না হেরে অপরাজিত থেকে ইতিহাস গড়েছে।’
এরপর আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে ফিফা বলেছে, ‘নারী এশিয়ান কাপে শীর্ষ ছয়ের মাঝে থাকতে পারলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামনে ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি হবে।’
চতুর্থ কার্ডে ফিফা লিখেছে, ‘এই দ্রুত অগ্রগতির পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা ‘এম্পাওয়ার হার : ২০২৪-২০২৭’ ও ফিফার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে পাওয়া ধারাবাহিক সহায়তা।’
সাফে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের বিষয়টিও তুলে ধরেছে ফিফা। লিখেছে, ‘পরপর দু’বার দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে দলটির আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। এই টুর্নামেন্ট ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থায়নে উপকৃত হয়েছে।’
সবশেষে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের একটি মন্তব্য তুলে ধরেছে ফিফা। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘ফিফা নারী ফুটবলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার ফলে বাংলাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। যার ফলস্বরূপ নারী ফুটবলের প্রতি দর্শক ও ভক্তসংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
উল্লেখ্য, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তান, মিয়ানমার ও বাহরাইনকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগ্রেসরা। যার ফলশ্রুতিতে র্যাঙ্কিংয়েও ২৪ ধাপ এগিয়ে ১০৪ নম্বরে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন