ভুয়া পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশ: ৩০ জুন, ২০২৫
-686299e33ba41.jpg)
নাটোরের বড়াইগ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা সদস্যের নিজের ভাই-বোন হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রকৃত অংশীদারদের মধ্যে ভাতা বিতরণের দাবি জানিয়েছেন আব্দুল জলিলের স্বজনরা।
সোমবার উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামে ওই মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র বোন আমেনা বেগমের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ আব্দুল জলিলের নাতি (ভাগ্নির ছেলে) রফিকুল ইসলাম। এ সময় আব্দুল জলিলের একমাত্র বোন আমেনা বেগমের দুই ছেলে খোদা বক্স ও আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া, সমাজসেবক আফাজউদ্দিন খামারু, আব্দুল আউয়াল ও আব্দুস সামাদ সরদার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জানা গেছে, জোয়াড়ী গ্রামের সরাফত উল্লার ছেলে আব্দুল জলিল সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ৩নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচিতি নং-৩৯৩৯৩৭৩, সশস্ত্র বাহিনী শহীদ গেজেট নং-৫৫২। ১৯৭৩ সালে সেনা সদর দপ্তর থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণপত্রের মাধ্যমে তার বিধবা মা সবজান বেওয়াকে এককালীন এক হাজার টাকা দেওয়া হয়।
পরে তার মা মারা যান এবং একমাত্র বোন আমেনা বেগমও সাত ছেলেমেয়ে রেখে মারা যান। এ সুযোগে আব্দুল জলিলের সৎভাই কৈডিমা গ্রামের মকবুল হোসেন ও সৎবোন পরিনা বেগম নিজেদের তার আপন ভাইবোনের ভুয়া পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও সেনা সদস্যের পেনশনসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল জলিলের স্বজনরা মকবুল হোসেন ও পরিনা বেগমের নামে ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করে তার প্রকৃত অংশীদার নির্ধারণ ও সরকারিভাবে গ্রামে তার নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মকবুল হোসেন ও পরিনা বেগম জানান, তার মা ও নিজের বোন মারা গেছেন। তাই সৎভাই-বোন হলেও ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আমরা নেই। তবে আমাদের সৎবোনের ছেলেমেয়েরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় দু-একবার ভাতা বন্ধও হয়েছিল।