কালিয়াকৈরে চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতনের অপপ্রচার
প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি সাইকেলসহ বাড়ির বিভিন্ন মালামাল খোয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে শিহাবকে (১১) জড়িত হিসাবে শনাক্ত করা হয়। পরে শিহাব চুরির ঘটনা স্বীকার করে বাড়ির পাশের বনে লুকিয়ে রাখা সাইকেল ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনায় স্বজনদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হয়। এরপর থেকে চুরির এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে ভিন্ন খাতে নিতে অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে শিশুটিকে নির্যাতনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়নের গাছবাড়ী এলাকায়। গত ২৬ জুন ওই বাইসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর নাজিম উদ্দিনের ভাই নাসির উদ্দিন (৪৮) জানতে পারে একই এলাকার এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে শিহাব এই ঘটনায় জড়িত। পরে শিহাবকে জিঙ্গাসাবাদে সে সাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে। পরে ২৮ জুন সাইকেলটি বনের ভেতর থেকে বের করে দেয় শিহাব। এ সময় তাকে বকাঝকা ও সামান্য শাসন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে চুরির মামলা করতে গেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বাধা দেয় ও বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। এ সময় শিহাবের বাবা, চাচা, মা, ফুপু ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে ঘটনা মীমাংসা হওয়ার পরও নাছির উদ্দিন ও তার ভাতিজা শামীম হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শিহাবকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে। তারা বলছেন, ১১ বছরের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে শিহাব নিয়মিত মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। সম্প্র্রতি চুরির অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, শিহাব আমার ভাই নাজিমের বাড়িতে ঢুকে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে সাইকেল নিয়ে চলে যায়। সে সাইকেলটি জঙ্গলে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। তাকে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বন থেকে সাইকেল বের করে দেয়। পরে সে শিয়ালের গর্ত থেকে চাবিও বের করে দেয়। পরে মামলা না দিয়ে পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তারা আমাদের বিরদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে এই অপপ্রচারের ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কালিয়াকৈর থানার এসআই আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি ওই এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে।