টেন্ডার ছাড়া স্কুলের ঘর বিক্রি করলেন শিক্ষক-কর্মকর্তা
প্রকাশ: ৯ জুলাই, ২০২৫
-6866a19ee0ab8.jpg)
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নিলাম বা টেন্ডার ছাড়া একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর ও আসবাবপত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত টিনের চৌচালা ঘর এবং লোহার বেঞ্চ-দরজা টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘরটি বিক্রির সময় কোনো টেন্ডার আহ্বান ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি বা মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক ও প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা যোগসাজশ করে ঘরটি বাজার দামের চেয়ে কম দামে (১৩ হাজার ৫ শ টাকায়) বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, অভিভাবক পলাশী বেগম বলেন, স্কুলের ঘর বা মালামাল বিক্রি করতে হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু আমরা কিছুই জানতে পারিনি। একদিন দেখি স্কুলের ঘর ভেঙে এবং ঘরের মধ্যে থাকা মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিসি-ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয় জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা সুলতানা বলেন, টিও-এটিওর অনুমতি নিয়েই এসব মালামাল বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির সময় এটিও (সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা) এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। আমি কিছু করিনি, যা করার তিনি করেছেন। তবে কোনো লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক ঘর বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, শুধু ঘরের টিনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিল। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, তাই স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিক্রি করা হয়েছে।
নিলাম কমিটির সভাপতি ও ইউএনও ফারজানা জান্নাত বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।