Advertisement

ইরানি দম্পতির বিরুদ্ধে ১২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হেনস্তা

যুগান্তর

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

ইরানি নাগরিক ফায়েজ ও তার স্ত্রী ঘোলির বিরুদ্ধে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ব্যবহার করে ১২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন একটি গ্যাস বিপণন সংস্থার দুই কর্মী।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে যশোর শহরতলীর খয়েরতলা পেট্রলপাম্পের সামনে ও দুই বিদেশি নাগরিককে পেয়ে গ্যাস বিপণন প্রতিষ্ঠানের কর্মী আনারুল ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর তাদের দুইজনকে ধরে ফেলেন। এরপর লোকজন উপস্থিত হলে ইরানিরা তাদের কাছ থেকে সোনার হার ও আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

খবর পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর দুই বিদেশি নাগরিকসহ চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

যশোরে আফিল গ্রুপের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, ওমেরা নামে একটি এলপিজি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটর আমরা। আমাদের শ্রমিক আনারুল ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীর বিভিন্ন দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিপণন করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকালে যশোর সদরের পুলেরহাট এলাকায় একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার সময় ওই ইরানি নাগরিকরা তাদের ভাষায় এবং ইঙ্গিতে আনারুলকে কাছে ডাকেন। এরপর একটি পাঁচশ টাকার নোট দেখিয়ে সেটি আসল কি না জানতে চান। ওই সময় টাকা তার নাকের সামনে নেওয়া হলে তিনি আকৃষ্ট হন। তারপর তারা আনারুলের কাছে ওই ধরনের আর নোট আছে কিনা দেখতে চান। আনারুল তার কাছে থাকা পাঁচশ’ টাকার নোটের বান্ডিলটি তাদের কাছে দেন। পরে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি অফিসে এসে টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় দেন বান্ডিলে থাকা ২৪টি নোট, অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা নেই। সেদিন তাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। আমি তাদের বেতনের থেকে ৬ হাজার করে ১২ হাজার টাকা কেটে পরিশোধ করি।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) খয়েরতলা পেট্রল পাম্পের পাশে একটি দোকানে মালামাল দেওয়ার সময় ওই বিদেশি নাগরিকরা তাকে ফের ডাকেন এবং টাকা ভাংতি চান। মুখ থেকে মাস্ক সরালে আনারুল তাদের চিনতে পারেন এবং সেই সময় ওই পুরুষ বিদেশির কলার ধরে চিৎকার করতে থাকেন। ওই সময় স্থানীয় লোকজন এলে ইরানিরা আনারুলকে ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং তাদের কাছ থেকে সোনার হার ও আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। পরে সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

এদিকে খবর পেয়ে বিকাল ৫টার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা বিদেশি নাগরিক দুইজনসহ চারজনকে থানায় নিয়ে যায়।

এসআই নাসিরউদ্দিন বলেন, আমরা দুপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের থানায় এনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা উভয়পক্ষকে হেফাজতে নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত গুরুতর অপরাধের তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।

আরও পড়ুন

Lading . . .