Advertisement

সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তি চরমে, জমি বেচাকেনা প্রায় বন্ধ

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

টঙ্গী রেজিস্ট্রি অফিস
টঙ্গী রেজিস্ট্রি অফিস

টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। জমির দলিল করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। এতে করে একদিকে যেমন সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে জমিজমা, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তি বেচাকেনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঠিক সেবা দিতে না পারায় রেজিস্ট্রি অফিসকে কেন্দ্র করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন সেই দলিল লেখক, ভেন্ডার ও তাদের সহযোগীদের সহস াধিক পরিবার বেকার হয়ে পড়ছেন।

জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যান (এলপিআর) টঙ্গীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিন দিন পর পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমানকে এ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সপ্তাহে মাত্র দু’দিন টঙ্গীতে অফিস করেন, বাকি তিন দিন কালীগঞ্জে বসেন। যার ফলে দলিল রেজিস্ট্রি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জমি বেচাকেনা করতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে সরেজমিন আলাপকালে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসে তাদের দুর্ভোগের কথা জানা যায়। ১২ আগস্ট টঙ্গীর পাগাড় এলাকার বাসিন্দা খন্দকার জাহাঙ্গীর হক সেবা নিতে এসেছেন টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে। তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে দ্রুত জমি রেজিস্ট্রি করার আবেদন জানিয়েছিলাম। কাঙ্ক্ষিত সেবাটি আমি পাইনি।

টঙ্গী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন বকুল বলেন, টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতি সপ্তাহে যেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ জমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হতো সেখানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন ২০০-২৫০টির বেশি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম তিনি একদিন বাড়িয়ে সপ্তাহে তিন দিন জমি রেজিস্ট্রি করতে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রারকে আদেশ দিয়েছেন।

টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান বলেন, টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে প্রতিদিন শতাধিক জমি রেজিস্ট্রি করা হতো। আমি খণ্ডকালীন এ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছি। তাই শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। টঙ্গীর কার্যালয়ে আমার সপ্তাহে তিন দিন অফিস করার নির্দেশ রয়েছে।

গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সাপ্তাহিক পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে টঙ্গীতে তিন দিন ও কালীগঞ্জে বাকি দুদিন জমি রেজিস্ট্রি করতে সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজুরকে নির্দেশ দিয়েছি। টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রার এলপিআরে রয়েছেন। পদ শূন্য থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। সাব-রেজিস্ট্রারের যোগদানের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদের সাব-রেজিস্ট্রার যোগদান করবেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .