Advertisement

ব্যাংকঋণ পরিশোধে জমি বেচবে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

ব্যাংকঋণ পরিশোধে জমি বেচবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার কোম্পানির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানানো হয়েছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, কোম্পানির নামে থাকা রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠার বেশি জমি ৭ কোটি টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। সেই হিসাবে প্রতি কাঠা জমি ৭০ লাখ টাকার কমে বিক্রি করা হচ্ছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকায় এই জমি কেনা হয়েছিল। ফলে পূর্বাচলের ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে শেফার্ডের ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার বেশি লাভ হবে। অর্থাৎ কেনা দামের দ্বিগুণের বেশি লাভে এই জমি বিক্রি করা হচ্ছে। লাভের টাকাসহ জমি বিক্রির পুরো অর্থ ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে।

কোম্পানিটি এ–ও জানিয়েছে, দ্বিগুণ লাভে জমি বিক্রির এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদিকে জমি বিক্রির এই খবরে আজ বুধবার শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪০ পয়সা বা সোয়া ২ শতাংশের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। এটি বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাঝারি মানের ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরে কোম্পানিটি ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এটি ১৫৪ কোটি টাকার মূলধনের কোম্পানি। গত আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারের ৫১ শতাংশের বেশি রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ গত জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১২ পয়সা। আর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৭ পয়সা। উভয় ক্ষেত্রে কোম্পানিটির আয় তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

Lading . . .