Advertisement

জামালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘পকেট কমিটি’ গঠনের অভিযোগ, প্রত্যাখ্যান একাংশের

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৩০ জুন, ২০২৫

জামালপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে শহরের সকাল বাজার এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনেছবি: প্রথম আলো
জামালপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে শহরের সকাল বাজার এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনেছবি: প্রথম আলো

জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছে দলের একাংশ। ওই কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুনরায় নতুন কমিটির গঠনের দাবি করেছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ও দাবি জানানো হয়।

দুপুরে ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মী’র ব্যানারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু)। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে দুজনের একটি আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। কমিটিতে আগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরল মমিন আকন্দকে (কাউছার) আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিমকে (সুমন) সদস্যসচিব করা হয়। ৫ আগস্টের আগে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নুরল মমিন আকন্দের ভূমিকা ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে দখলবাজিসহ নানা অভিযোগও রয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘সদস্যসচিব মঞ্জুরুল করিম জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া তাঁর বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। ফলে ওই কমিটি বাতিল করে পুনরায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আর আমরা এই শহরের বাসিন্দা। সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু), সাবেক পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এ এস এম মিজানুর রহমান (মিলন), সহকোষাধ্যক্ষ মো. ফয়সাল। এ ছাড়া সাবেক কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Lading . . .