ভারতে পিটুনিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি হিলসে স্থানীয় জনতার মারধরে নিহত বাংলাদেশি যুবক মো. আকরাম হোসেনের (৩৫) লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
গতকাল রোববার বিকেলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী মহেশখোলা বিওপি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। এর আগে দুপুরে একই এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের যৌথ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত আকরাম শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাঁকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পরিবার জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বরিশালে থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতেন। তাঁর দুই স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
আকরামের বড় ভাই শেখ ফরিদ আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ৬ আগস্ট তাঁর ভাই বরিশালের ভাড়া বাসা থেকে বের হন। পাঁচ দিন পর ১১ আগস্ট তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখেন, লোকজন আকরামকে মারধর করছে। এরপর তিনি বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শেখ ফরিদ বলেন, রোববার বিএসএফ তাঁর ভাইয়ের লাশ কলমাকান্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে সেটি মধ্যনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। আজ ময়নাতদন্ত হবে, এরপর তাঁরা লাশ বাড়ি নিয়ে যাবেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, নিহত বাংলাদেশির লাশ তাঁরা বুঝে পেয়েছেন। তবে মহেশখোলার সীমানা মধ্যনগর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় লাশটি তাঁরা সেখানে হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, ১০ আগস্ট অবৈধভাবে ভারতে ঢুকলে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসের কৈথাকোনা এলাকার লোকজন আকরামকে আটক করেন। পরে পিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। আকরামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চোরাচালানসহ একাধিক মামলা আছে বলে দাবি তাঁর।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।