Advertisement

হাতে মেহেদি আর আংটি দেখে শিক্ষিকাকে থাপ্পড়, অতঃপর...

যুগান্তর

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

মেহেদি রাঙা হাত আর আঙুলে আংটি দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে থাপ্পড় দিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এতে সহরবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী শিক্ষক পিংকী আক্তারের অশুভ আচরণের বিচার দাবি জানিয়েছেন। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

ভুক্তভোগী হারিছা আক্তার আঁখি যুগান্তরকে জানান, তিনি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসছিলেন। তিনি যে অটোরিকশায় ছিলেন এতে উঠেন খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারিয়া ইফাত পিংকী। পারিবারিকভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে পিংকীর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় আঁখির পরিবার।

তিনি বলেন, অটোরিকশায় উঠে আমার পাশে এমনভাবে বসছিলেন যে আমি বসতে পারছি না। এ সময় হাত দিয়ে তাকে একটু সরতে বলায় তিনি হাতে মেহেদি আর আংটি দেখে ফেলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে থাপ্পড় মারেন। এ সময় অটোরিকশায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পথিক হাসান প্রান্ত এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষিকা থাকেও থাপ্পড় মারেন। পিংকীকে এসবের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আবারও তাকে থাপ্পড় মারেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, শিক্ষকের হাতে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারের দাবিতে মাঠে নেমে যায় এবং ওই স্কুলে গিয়ে তার বিচারের দাবি জানায়।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ফারিয়া ইফাত পিংকী জানান, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদের উপস্থিতিতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক স্বপ্না বেগম জানান, পিংকী অটোরিকশায় থাকা আঁখি ও পথিক হাসান প্রান্তকে থাপ্পড় মারতে দেখেছেন।

খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার জানান, এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অপরাধ করলে, তার শাস্তি হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, আমরা উভয়পক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তদন্তপূর্বক দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Lading . . .