বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শিক্ষিকা মাহেরীন
প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা সাহসী ও মানবিক শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীকে শায়িত করা হলো বাবা-মায়ের কবরের পাশে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মরহুমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
জানাজায় জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও নীলফামারী-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ওবায়দুল্লাহ সালাফী, জলঢাকা উপজেলা আমীর মোখলেছুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী,বিএনপি নেতা তাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম বাবু,মরহুমার স্বামী মনসুর হেলালসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুনাব্বিরুল হক।
মরহুমা মাহেরীন চৌধুরী রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী) ছিলেন। সোমবার (২১ জুলাই) অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
মরহুমার স্বামী মনসুর হেলাল জানান, তার স্ত্রী ইচ্ছা করলেই বাঁচতে পারত। কিন্তু সে তা না করে তার শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীকে টেনে বের করতে থাকে। একপর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন