নীলফামারীতে বিপৎসীমা অতিক্রমের ৩ ঘণ্টা পর আবার নেমেছে তিস্তার পানি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রমের তিন ঘণ্টা পর আবার নামতে শুরু করেছে। আজ সোমবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ পরিমাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে নামে। এর আগে গতকাল রোববার একই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। আজ সকাল ৯টায় সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ১৪ মিটার দিয়ে।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তবে আজ সকাল পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ওঠেনি।
আজ সকালে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে পানি বেশি থাকলেও এখন কমছে। তবে বাড়িঘরে পানি ওঠেনি এবং তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৫২ দশমিক ১৮ মিটার এবং সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ১৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টেও পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক আছে।