ভাইসহ সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২২ সেপ্টেম্বর
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রংপুরে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ভাই শাহাজাদা মিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বলে জানা গেছে।
আলাউদ্দিন মিয়া কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করার সময়ে নিজ নামে ও তার ছোট ভাইয়ের নামে ওই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার আয়কর রিটার্নে এই সম্পদের বিবরণী তথ্য গোপন রেখেছিলেন তিনি। মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নিয়ে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছে।
জানা গেছে, আলাউদ্দিন মিয়া ভিপি আলাউদ্দিন নামে সর্বাধিক পরিচিত। রংপুর কারমাইকেল কলেজ সংসদে তিনি একবার ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি নিজ নামের সঙ্গে ওই পদবি ব্যবহার করে আসছেন।
তার ভাইয়ের স্ত্রীকে পারিবারিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করায় এ নিয়ে তিনি দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ে আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছোট ভাই শাহাজাদা মিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেন।
এরই সূত্র ধরে দুদক অনুসন্ধানে নামে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা মিললে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী রংপুর দুদক সমন্বিত কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক একেএম নূরে আলম সিদ্দিক তদন্তকালে অভিযোগের প্রমাণ পান।
তদন্তকালে তিনি আলাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৭ হাজার ৩০৮ টাকা ও তার ভাই শাহাজাদা মিয়ার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ১৯৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের নথিপত্র পান। এর পর তিনি দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির চার্জশিট রংপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করেন। আদালত মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন।
ওই আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একেএম হারুন-উর-রশীদ।
তিনি আরও জানান, মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ পুনরায় ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। এ অবস্থায় আলাউদ্দিন মিয়া উচ্চ আদালতে মামলাটি ‘কোয়াশমেন্ট’ আবেদন করলেও তিনি এই নিয়ে তার পক্ষে এখনো উচ্চ আদালতের কোনো আদেশ পাননি। তাই আদালত ওই দিন পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক একেএম নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, মামলার তদন্তকালে দেখা গেছে অভিযুক্ত আসামিরা অবৈধ আর্থিক উপার্জনের মাধ্যমে নিজ নামে বাড়ি, জমি, হোটেল, শপিংমলে দোকানসহ নানা সম্পদ অর্জন করেছেন।