Advertisement

সন্তান হত্যার বিচার চান বাবা

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও তদন্তে নেই অগ্রগতি। এখনো জানা যায়নি মৃত্যুর আসল রহস্য। সেদিন কি ঘটেছিল জোবায়ের আমিনের সঙ্গে। সেই রাতে জোবায়ের সঙ্গে ছিল তার দুই সহপাঠী। রাতে ঘুরতে বের হলেও আর ফেরা হয়নি বাড়িতে। তবে পরিবারের দাবি জোবায়ের আমিনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সে সময় চিলমারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে সেই রাতে সঙ্গে থাকা জোবায়ের বন্ধু মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১)। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ছয়-সাতজন।

এ নিয়ে রোববার (২০ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এক বছরে একটি হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার হয় না। এ সময় তারা হুঁশিয়ার করে বলেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে আসাসিদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

জোবায়েরের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, সন্তান হত্যার বিচারের জন্য আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে। বাবা হিসেবে এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য। আমার সন্তানকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করলো। এ ঘটনার এক বছর হয়ে গেলো তবুও কোনো আসামি গ্রেফতার হলো। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।

চিলমারী মডেল থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন

Lading . . .