Advertisement

দোয়া কি পশ্চিম দিকে ফিরেই করতে হবে?

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহর রাসূল সা. যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)

একজন মানুষ যেকোনো দিকে ফিরে দোয়া করতে পারেন। পশ্চিম বা নির্দিষ্ট কোনো দিকে ফিরে দোয়া করা জরুরি নয়। বরং যেকোনো দিকে ফিরেই দোয়া করা যাবে। কারণ এখানে আল্লাহর কাছে দোয়া করা মূল বিষয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,

‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৮২৭) কোন দিকে ফিরা করা হল সেটা মূল বিষয় নয়।

আরও পড়ুন

তবে সাধারণ অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। এটি দোয়ার আদব ও শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। তবে দোয়া পরিচালনাকারী যদি আগ থেকেই মজলিস বা সমবেতদের দিকে ফিরে থাকেন, তবে তখন তাদের দিকে ফিরে দোয়া করতে কোনো সমস্যা নেই। তা সুন্নতের পরিপন্থী হবে না। বরং উভয়টি হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত।

এক হাদিসে উমর (রা.) বলেন, ‘বদরের দিন রাসুল (সা.) কাফেরদের দিকে তাকালেন। ....অতঃপর কেবলামুখী হয়ে দুই হাত প্রসারিত করে উচ্চস্বরে দুআ করতে লাগলেন- আল্লাহুম্মা আনজিযলি মা ওয়াদ্তানি। তিনি এভাবে দুই হাত প্রসারিত করে কেবলামুখী হয়ে দোয়া করতে থাকলেন। একপর্যায়ে তার কাঁধ থেকে চাদর পড়ে গেল।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৭৬৩)

Lading . . .