Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • টিস্যু, ডিলা-কুলুপ ছাড়া শুধু পানি ব্যবহারে কি পবিত...

টিস্যু, ডিলা-কুলুপ ছাড়া শুধু পানি ব্যবহারে কি পবিত্রতা অর্জন হয়?

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইস্তিঞ্জার সঠিক পদ্ধতি কী? পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ইসলামিক দৃষ্টিতে কতটা যথেষ্ট? সংগৃহীত ছবি
ইস্তিঞ্জার সঠিক পদ্ধতি কী? পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ইসলামিক দৃষ্টিতে কতটা যথেষ্ট? সংগৃহীত ছবি

প্রশ্ন: টিস্যু, ডিলা বা কুলুপ ছাড়া কেবল পানি ব্যবহার করে ইস্তিঞ্জা করলে পবিত্রতা অর্জিত হবে কি?

উত্তর: ইস্তিঞ্জার উদ্দেশ্য হলো শরীরকে নাপাকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা। শরীয়তে এর জন্য দুইটি পদ্ধতি রয়েছে—একটি হলো শুকনো বস্তু (যেমন ঢিলা, টিস্যু, কুলুপ, পাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা, অপরটি হলো পানি ব্যবহার করা।

কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন: “তিনি তোমাদের উপর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, যাতে তোমাদের পবিত্র করেন।” (সূরা আনফাল: আয়াত ১১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের পানি ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে হাদিসে তিনটি পাথর ব্যবহার করার কথাও এসেছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমাদের কেউ ইস্তিঞ্জা করলে তিনটি পাথর ব্যবহার করবে। এতে তার জন্য যথেষ্ট হবে।”(সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪৪)

আরেক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) গোবর ও হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪৬)

কুবা এলাকার আনসাররা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার অভ্যাস করতেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আল্লাহ ভালোবাসেন তাদেরকে যারা পবিত্র হয় এবং যারা পবিত্র থাকে।” (সুরা তাওবা: আয়াত ১০৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের সম্পর্কে বলেন, “এটাই সেই পবিত্রতা, যার কারণে আল্লাহ তোমাদের প্রশংসা করেছেন।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৫৬)

ফিকহবিদরা বলেন, যদি নাপাকি সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যায় এবং ফোঁটার ভয় না থাকে, তবে কেবল পানি দিয়েই ইস্তিঞ্জা করলে পবিত্রতা অর্জিত হবে। তবে আগে শুকনো বস্তু দিয়ে মুছে নিয়ে পরে পানি ব্যবহার করলে তা সর্বোত্তম ও পূর্ণাঙ্গ সুন্নত পদ্ধতি।

দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়ায় বলা হয়েছে, “হ্যাঁ! কেবল পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা শরীয়তসম্মতভাবে জায়েজ। তবে উত্তম হলো আগে কিছুক্ষণ বসে ইস্তিবরা করে নেওয়া, যাতে ফোঁটা না থাকে। তারপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা। আর যদি আগে ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করে পরে পানি দিয়ে ধোয়া হয়, তবে সেটিই সর্বোত্তম ও পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি।”

সূত্র: হাদিস: সুনান আবু দাউদ (হাদিস: ৪৪), সুনান ইবনে মাজাহ (হাদিস: ৩৪৬, ৩৫৬) ফিকহি কিতাব: হিদায়াহ (১/৩৪), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/৩৭), ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া (৩/৩৪১), ফতোয়ায়ে শামী (১/৫৫০)

লেখক: শিক্ষক, জামিয়া মিফতাহুল উলুম নেত্রকোনা

Lading . . .