Advertisement

জামাতে নামাজ না পড়ার ক্ষতি

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

মাদান ইবনে আবি তালহা আল-ইয়ামুরী বলেন, আবু দারদা (রা.) আমাকে বললেন, তুমি কোথায় থাক? আমি বললাম, হিমসের কাছে একটি জনপদে। তখন আবু দারদা (রা.) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি—

কোন জনপদে কিংবা বেদুইনদের তাঁবুতে তিনজন লোক থাকার পরও যদি সেখানে সালাত কায়েম করা না হয় তবে শয়তান সেখানে প্রভাব বিস্তার করে। সুতরাং তুমি জামাতের (নামাজের জামাত) সাথে জীবন অতিবাহিত কর। কেননা, নেকড়ে কেবল দলছুটকেই খায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৪৭)

আমরা অনেকেই জামাতে নামাজ আদায়ে অবহেলা করি। রাসুল (সা.) এই হাদিসে জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। এক হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনল এবং তার কোনো অপারগতা না থাকা সত্ত্বেও জামাতে উপস্থিত হলো না, তার সালাত হবে না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৯৩)

আরও পড়ুন

রাসুল (সা.) জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছেন। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তাঁর কসম করে বলছি! অবশ্যই আমি সংকল্প করেছি, আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেব, তারপর আমি নামাজের হুকুম দেব এবং এ জন্য আজান দেওয়া হবে, তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করব সে লোকদের নামাজ পড়াবে। এরপর আমি ওই লোকদের দিকে যাব, যারা জামাতে হাজির হয়নি। এবং তাদের বাড়িঘর তাদের সামনেই জ্বালিয়ে দেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪২০)

রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী মর্যাদা আছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের নামাজের যে মর্যাদা আছে তা যদি তারা জানতে পারত, তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের নামাজের মধ্যে যে (তাদের জন্য) কী মর্যাদা রয়েছে, তা যদি জানতে পারত, তাহলে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও এসে নামাজে উপস্থিত হতো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৭)

Lading . . .