Advertisement

জুমার দিনের ফজিলত ও করণীয় আমল

দৈনিক সংগ্রাম

প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

ইসলামে জুমার দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। কোরআন ও সহিহ হাদিসে এই দিনের গুরুত্ব ও করণীয় বিষয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। মুসলিমদের প্রতি জুমার দিন সময়মতো মসজিদে উপস্থিত হওয়া এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করার আহ্বান এসেছে পবিত্র কোরআনে।

কোরআনের ভাষায় জুমার গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হলে, তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটি তোমাদের জন্য উত্তম— যদি তোমরা বুঝো।’ (সুরা জুমা: ৯-১০)

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ:

১. জুমার মর্যাদা:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ—

আদম (আ.) এই দিনে সৃষ্টি হন।

এই দিনেই তাঁকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়।

এই দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত থাকে, যখন আল্লাহ বান্দার প্রার্থনা কবুল করেন।

কিয়ামত সংঘটিত হবে এই দিনেই। (ইবনে মাজাহ: ৮৯৫)

২. জুমার নামাজ ও পাপ মোচন:

সহিহ হাদিসে এসেছে, জুমার নামাজ দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে, যদি বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম: ২৩৩)

৩. গোসল ও আগে আগমন:

আউস বিন আউস (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে আগে মসজিদে আসে, খুতবায় মনোযোগ দেয়—তাঁর জন্য প্রতি কদমে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব লেখা হয়। (আবু দাউদ: ৩৪৫)

৪. খুতবার সময় মনোযোগ:

রাসুল (সা.) বলেন, আগে মসজিদে আসা ও খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ব্যক্তিকে উট, গরু, ছাগল এমনকি ডিম সদকার সওয়াব দেওয়া হয়, আগমনের সময় অনুযায়ী। (সহিহ বুখারি: ৮৪১)

৫. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত:

জুমার দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দোয়া কবুল হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, এই সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করতে। (আবু দাউদ: ১০৪৮)

৬. সুরা কাহাফ পাঠ:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করলে তা পরবর্তী জুমা পর্যন্ত আলোকরশ্মি হয়ে থাকে। দাজ্জালের ফিতনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। (সহিহ তারগিব: ১৪৭৩)

৭. দরুদ পাঠ:

এই দিনে নবীজি (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি নিজেই। কারণ, জুমার দিনে পাঠ করা দরুদ সরাসরি তাঁর কাছে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

আরও পড়ুন

Lading . . .