Advertisement

কিবলা নির্ণয়ে ভুল হলে কি নামাজ হবে?

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কিবলা নির্ণয়ে ভুল হলে কি নামাজ হবে?
কিবলা নির্ণয়ে ভুল হলে কি নামাজ হবে?

কাবা মুসলমানদের কিবলা। মুসলমান মসজিদুল হারামে কাবার সামনে বা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, নামাজের সময় কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে হবে। কিবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করা ফরজ।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সব জায়গা থেকে কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও, তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফেরাও। (সুরা বাকারা: ১৪৪)

তাই কেউ যদি কিবলার দিক জানা থাকার পরও অন্য দিকে ফিরে নামাজ পড়ে, তাহলে তার নামাজ হবে না।

কেউ যদি নতুন কোনো এলাকায় যায়, কিবলার দিক জানা না থাকে, তাহলে কম্পাস বা সূর্যের গতিপথ দেখে, মানুষকে জিজ্ঞাসা করে অথবা অন্যান্য উপায়ে কিবলার দিক জানার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তারপর নিশ্চিত জ্ঞান বা প্রবল ধারণা অনুযায়ী কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করলে নামাজ হয়ে যাবে।

কিবলার দিক জানার যথাসাধ্য চেষ্টা করে নামাজ আদায়ের পর যদি জানা যায় কিবলা নির্ণয়ে ভুল হয়েছিল, তবুও কিবলা নির্ণ‌য়ের চেষ্টা ক‌রে নামাজ আদায় করার কার‌ণে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে বলে গণ্য হবে। পুনরায় ওই নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। তবে নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে কিবলা ভুল ছিল এটা নিশ্চিত হলে ওই নামাজ আবার আদায় নেওয়া উত্তম।

কিবলা জানা না থাকলে কেউ য‌দি কিবলা নির্ণ‌য়ের প্রচলিত পদ্ধতিসমূহের কোনো একটাও অবলম্বন না ক‌রে শুধু অনুমান বা ধারণা অনুযায়ী যে কোনো এক দিকে ফিরে নামাজ আদায় করে, পরবর্তীতে জানা যায় সে ভুল দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছে, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

যারা কাবার সামনে রয়েছে, কাবাকে সরাসরি দেখছে, তাদের কাবামুখী বা কিবলামুখী হওয়ার পদ্ধতি আর যারা দূরে রয়েছে তাদের কিবলামুখী হওয়ার পদ্ধতি এক রকম নয়।

যারা কাবার সামনে আছে এবং কাবা দেখতে পাচ্ছে তারা তো সরাসরি কাবা বরাবর মুখ করেই নামাজ আদায় করবে। আর যারা দূরে রয়েছে, কাবা দেখছে না, তাদের জন্য পুরোপুরি কাবামুখী হওয়া জরুরি নয়। বরং কাবা যে দিকে অবস্থিত ওই দিকটিই তাদের কিবলা। তারা ওই দিকে ফিরে নামাজ আদায় করলেই নামাজ হয়ে যাবে, চেহারা পুরোপুরি কাবা বরাবর না হলেও।

নামাজে যথাযথভাবে কিবলামুখী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ডানে বা বামে ঘোরা যাবে না। এরপরও ভুল করে বা কোনো অসুবিধার কারণে কিবলার দিক থেকে ৪৫ ডিগ্রি পরিমাণ পর্যন্ত ডানে বা বামে সরে গেলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। এর চেয়ে বেশি পরিমাণ ঘুরে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

যেমন কোনো এলাকার কিবলার দিক যদি ২৭৭ ডিগ্রিতে হয় তাহলে এর থেকে উত্তরে ২৭৭+৪৫=৩২২ ডিগ্রি পর্যন্ত সিনা ঘুরে গেলেও নামাজ হয়ে যাবে। এর চেয়ে বেশি ঘুরলে নামায শুদ্ধ হবে না। একইভাবে এর থেকে দক্ষিণে ২৭৭-৪৫=২৩২ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে গেলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এর চেয়ে বেশি দক্ষিণে ঘুরলে নামাজ শুদ্ধ হবে না।

Lading . . .