Advertisement
  • হোম
  • ধর্ম
  • কাবার ইমাম শায়খ বান্দার বালিলাহ সম্পর্কে এই ৫ তথ্য...

কাবার ইমাম শায়খ বান্দার বালিলাহ সম্পর্কে এই ৫ তথ্য জানেন?

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২৫

24obnd

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের একজন শায়খ বান্দার বালিলাহ। সুললিত কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের লাখো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। তার হৃদয়ছোঁয়া খুতবা ও সুললিত কণ্ঠের কোরআন তিলাওয়াত কোটি মানুষের মন জয় করেছে।

শায়খ বান্দার বালিলাহর জীবন, কৃতিত্ব সম্পর্কে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো—

শায়খ বান্দার বালিলাহ কে?

শায়খ বান্দার বালিলাহ ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী ফিকহ ও ইসলামি স্টাডিজ-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০৮ সালে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেট সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন

কোরআনের প্রতি শায়খ বান্দার বালিলাহ গভীর ভালোবাসা

শৈশব থেকেই কোরআনের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল শায়খ বান্দার বালিলাহর। এই ভালোবাসা তাকে কোরআনের হাফেজ হতে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি শৈশবেই কোরআন হিফজ করেন। তার কোরআন হিফজের বিষয়টি বর্তমানে মুসলিম তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।

শায়খ বান্দার বালিলাহ যেভাবে মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম হলেন

বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান হলো মসজিদুল হারাম। এখানে ইমামতি করা একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার।
শায়খ বান্দার বালিলাহ ২০১৩ সালে প্রথমে রমজানে মসজিদুল হারামে অতিথি ইমাম হিসেবে তারাবিহ নামাজ পড়ানোর সুযোগ লাভ করেন। এর তিনি মসজিদুল হারামে নিয়মিত ইমাম ও খতিব হন। তিনি আরাফার ময়দানে হজের খুতবাও প্রদান করেছিলেন।

৪. অনলাইন ও অফলাইনে শায়খ বান্দার বালিলাহর প্রভাব

মসজিদুল হারামে নামাজে তিলাওয়াতের বাইরেও অনলাইনে ছড়িয়ে আছে শায়খ বান্দার বালিলাহর তিলাওয়াত। লাখো মানুষ অনলাইনে তার তিলাওয়াত শুনেন। অফলাইনে আছে তার অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী। সুললিত কণ্ঠের তিলাওয়াতের মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের হৃদয়ে কোরআনের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও তাওহিদের বার্তা জাগিয়ে তুলেছেন।

তার অনুপ্রেরণামূলক তিলাওয়াত হাজারো মানুষকে কোরআনের শিখতে উৎসাহিত করছে।

সৌদির উচ্চতর উলামা পরিষদের সদস্য

শায়খ বান্দার বালিলাহকে ২০২০ সালে সৌদি আরবের উচ্চতর উলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাদশাহ সালমান এক রাজকীয় ফরমানে সৌদি আরবের উচ্চতর উলামা পরিষদ, শুরা কাউন্সিল এবং সুপ্রিম কোর্ট পুনর্গঠন করেন।

উচ্চতর উলামা পরিষদ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা। দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত উচ্চতর উলামা পরিষদ ধর্মীয় বিষয়ে সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বাদশাহ পরিষদের সদস্য নিয়োগ করেন এবং সরকার কর্তৃক তাদের বেতনভাতা প্রদান করা হয়। তারা মন্ত্রীর সমমর্যাদা ভোগ করেন। শরিয়া বিশেষজ্ঞ আলেমরা এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান।

সূত্র : মুসলিম প্রো

Lading . . .